প্রকাশিত: ১৪/০৩/২০১৮ ৭:৫৯ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:২৯ এএম

 

ফারুক আহমদ,উখিয়া  নিউজ ডটকম:;

ইয়াবা সিন্ডিকেটদের আখাড়ায় পরিনত হয়েছে উখিয়ার সোনার পাড়া। এক ডজন ইয়াবা কারবারী সগর ও সড়ক পথে ইয়াবা টেবল্যাটের বিশাল চালান পাচার করছে। পুলিশের সাথে গোপন আতাঁত করে এ ব্যবসা প্রকাশ্যে চালিয়ে যাচ্ছে। পোনা ভর্তি মাইক্রোবাসে তল্লাসী চালিয়ে বিপুল পরিমান ইয়াবা সহ চালক চট্রগ্রামে আটক হলেও ইয়বার মূল হোতা নুর উদ্দিন এখনো ধরা ছোয়ার বাহিরে। এর আগে আহমদ হোসনের পুত্র ইয়াবা জসিমকে ডিবি পুলিশ ঢাকায় ইয়াবা সহ গ্রেপ্তাার করে।গতকাল মঙ্গলবার অনলাইন পোর্টাল উখিযা  নিউজ ডটকমে উখিয়ার পোনা ভর্তি মাইক্রোবাসে ইয়াবা সহ ২ ব্যক্তি চট্টগ্রামে আটক শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে সর্বত্র তোলপাড় সহ পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা নজরধারী শুরু করেছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায, ইয়াবা সহ আটক হওয়া মাইক্রোবাসটি সোনার পাড়া গ্রামের পাচারকারী সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য নুর উদ্দিনের মালিকানাধীন । তার আপন সহোদর ছমিউদ্দিন ইতিপূর্বে পোনা ভর্তি ট্রাক সহ অনুরুপ ভাবে গ্রেপ্তার হয়েছিল।

পোনা ভর্তি গাড়ি যোগে অভিনব পস্থায় বক্সে লুকিয়ে ইয়াবার চালান সহ পাচারকারী আটক হওয়ায় ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত অন্যতম চিহিৃত সদস্যরা গাঁ-ঢাকা সহ মোটা অংকের টাকা নিয়ে থানা পুলিশের কাছে ধর্না নিচ্ছে। এমনও অভিযোগ উঠেছে কর্নফুলী থানার পুলিশকে ম্যানেজ করে গ্রেপ্তার হওয়া ১জন ইয়াবা ব্যবসায়ীকে ছাড়িয়ে এনেছে।

গ্রামবাসীরা আরও জানায়, জালিয়া পালং ইউনিয়নের সোনার পাড়া গ্রামের বদি আলমের পুত্র নুর উদ্দিন ও আপন ভাই ছমিউদ্দিনের নেতৃত্বে সোনার পাড়া কেন্দ্রিক শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। টেকনাফের ইয়াবা সিন্ডিাকেটের সাথে তাদের সখ্যতা। চিংড়ি পোনার সাথে অভিনব কায়দায় দীর্ঘদিন ধরে ট্রাক ও মাইক্রোবাস যোগে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইয়াবার চালান পাচার করে আসছে। অতিসম্প্রতী পোনার বক্সে করে ইয়াবা পাচারের সময় ছমিউদ্দিন সহ ২জন ডিবি পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল। পুলিশের সাথে মোটা অংকের টাকার বিনিময় ম্যানেজ করে উক্ত সিন্ডিকেট ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছিল এমন অভিযোগ গ্রামবাসীর।

স্থানীয় ভাবে জানা যায়, প্রায় ৬০ হাজার ইয়াবার বিশাল চালান নিয়ে পোনা ভর্তি মাইক্রোবাস যোগে ঢাকায় পাচার করছিল। কর্নফুলী থানার উপ-পুলিশ পরির্দশক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ইয়াবা সহ আটক মেক্যাব কামাল নামক ১ ব্যক্তিকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। এব্যয়পারে থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামলা রুজু করা হয়। তবে জব্দ হওয়া ইয়াবার পরিমান জানাতে তিনি অপরগতা প্রকাশ করেন। অভিযোগ উঠেছে মোটা অংকের টাকা দিয়ে নুর উদ্দিনের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়। ফলে এ ইয়াবা সিন্ডিকেট সদস্য প্রকাশ্যে সোনার পাড়ায় আবারও ইয়াবার চালানের প্রস্ততি নিচ্ছে। সচেতন মহলের অভিযোগ ইয়াবা সহ আটক মাইক্রোবাসের চালককে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মূল পাচারকারীদের নাম ও ঠিকানা বেরিয়ে আসবে।

পাঠকের মতামত